শেরপুরে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার- পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
শেরপুরে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের আট সদস্যকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান রাসেল।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৫৫), মো. মুকুল মিয়া (৩০), মো. সম্রাট (২৫), মো. জীবন (২৫), মো. রাশেদুল ওরফে আসাদুল (৩২), মো. সুজন মিয়া (২৮), মো. রইচ উদ্দিন (৩৮) ও মো. আমিন মিয়া (২৫)।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে শ্রীবরদী উপজেলার বকচর পূর্বপাড়া গ্রামে মো. আব্দুল মমিন (৬০) এর গোয়ালঘরের তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র চারটি গাভী ও চারটি বাছুর চুরি করে পিকআপ ট্রাকে উঠাচ্ছিল। এসময় আব্দুল মমিনের ভাতিজা মো. রফিকুল ইসলাম শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গরু ট্রাকে উঠানো দেখে চিৎকার শুরু করলে চোরচক্র গরুসহ ট্রাক নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় আব্দুল মমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোরচক্রের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এরপর মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের শনাক্তকরণসহ গ্রেপ্তারের জন্য তদন্তে নামে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকারচর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ সুপার জানান, হাবিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে আসামি মো. মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, গত ৯ অক্টোবর গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে আসামি মো. সম্রাট, মো. জীবন, মো. রাশেদুল ওরফে আসাদুল, মো. সুজন মিয়া, মো. রইচ উদ্দিন ও মো. আমিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সালনা এলাকায় থেকে গরু চোরাই কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানিয়েছে, চোরাই গরুগুলো তারা ডিএমপির তুরাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকার ধওর নামক স্থানে মো. খাইরুল ইসলামের (৩৮) কাছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে তারা। তাকে গ্রেপ্তার ও চোরাই গরু উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে সুজন মিয়া, মো. রাশেদুল ওরফে আসাদুল আদালতে চুরির দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং বাকী আসামিদের সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রেস ব্রিফিংয়ে।