শেরপুরে অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে তালা ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন
শেরপুর প্রেসক্লাবের মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি বাতিলসহ ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে অধিকার বঞ্চিত জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা শেরপুর প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে। ৩০ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের আলোচনায় সমঝোতার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে জেলায় কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক প্রথম দিনের অবস্থান কর্মসূচী তুলে নেয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পেশাজীবী সংগঠন পেশার মান উন্নয়ন, নিপীড়িত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের বিপদে সহযোগিতা এবং পেশায় কর্মরতদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করার কথা। কিন্তু প্রেসক্লাবের মত একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কিছু ব্যক্তির জন্য কুলুষিত হচ্ছে। যা এই শেরপুরের জন্যেও লজ্জাজনক। দেশের প্রথম সারির মিডিয়াতে কাজ করা কিছু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হিংসা বশবর্তী হয়ে কালো তালিকার ঘটনাও ঘটিয়েছে। এছাড়াও বিএনপি জামাত নেতৃবৃন্দের হাত থেকে প্রেসক্লাবকে মুক্ত করার দাবিও জানান তারা।
এসময় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নূরে আলম চঞ্চলের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আদিল মাহমুদ উজ্জল, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রফিক মজিদ, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মারুফুর রহমান মারুফ, দেশ রুপান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শফিউল আলম সম্রাট, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস), শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল সহ উভয়পক্ষের তিনজন করে প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জাল, মহিউদ্দিন সোহেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফুর রহমান মারুফ ও নুরে আলম চঞ্চল বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হিসেবে পরবর্তী আলোচনার পূর্ব পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে জেলার শীর্ষ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকতা ও রাজনৈনিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।