যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হলেন শেরপুরের সাবেক এমপি শ্যামলী
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য, শেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী। ১৬ জুলাই রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত যুব মহিলা লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে ওই তথ্য জানা যায়।
সাবেক এমপি শ্যামলী একাধারে বহুমাত্রিক শিল্পের প্রবক্তা, সফল নারী উদ্যোক্তা, সফল রাজনৈতিক ব্যক্তি, নারী সমাজের কাছে অনুকরণীয়। শেরপুরের এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান এ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী। পিতা প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,রাজনীতিক ও শ্রমিকনেতা সেলিম রেজার একমাত্র কন্যা শ্যামলী পারিবারিক সূত্রে ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের আদর্শের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। রাজধানী ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করার পর শেরপুরে এসে জেলা যুব মহিলা লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনের এক কঠিন সময়ে দায়িত্ব পান ওই সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর জেলা যুব মহিলা লীগের ঐতিহ্যাসিক ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হোন। সেইসাথে পিতার মৃত্যুজনিত কারণে পরিবারসহ পৈত্রিক ব্যবসার হাল ধরায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই একজন যুব ও নারী উদ্যোক্তা হিসেবেও পেয়ে যান পরিচিতি।
আর এমনই সফলতার ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে শেরপুর-নেত্রকোনা সংরক্ষিত আসনে শেরপুরের হয়ে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো সংরক্ষিত সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়নসহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ করে গেছেন তিনি। এত ঝামেলা-ব্যস্ততার পরও প্রয়াত বাবার ইচ্ছে পূরণে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন এবং শেরপুর বারের সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর শেরপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নসহ অপর দু’টি নির্বাচনী এলাকাতেও শ্যামলীর বিচরণ ও সহায়তা ছিল অকৃপণ। সরকারি স্বাভাবিক বরাদ্দের পরও নিজের চেষ্টা-তদবিরে অনেক এলাকায় বহু উন্নয়ন কর্মকান্ডে রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। এরপরও বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা পূরণ সম্ভব না হলে ব্যয় করেছেন ব্যক্তিগত অর্থ। তার উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বাদ যায়নি শতশত শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও।
এদিকে সাবেক এমপি শ্যামলীকে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করায় শেরপুরের মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এ সাবেক এমপি শ্যামলীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের, যুব মহিলা লীগ নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি শ্যামলী বলেন, আমি যুব মহিলা লীগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপার চলমান উন্নয়নের কথা শেরপুরের মানুষকে জানিয়েছি। এমপি থাকাকালীন সময়ে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছি। আমাকে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের, যুব মহিলা লীগের সকল নেত্রীবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।