শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিরুদ্ধে হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার
বৃহস্পতি, 28.09.2023 - 06:54 PM
Share icon
Image

শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত একটি দলিলের নকল তুলতে গিয়ে দীর্ঘ ৪ মাসেও নকল না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সদর উপজেলার নলবাইদ গ্রামের মোঃ শাহাদুল ইসলামের স্ত্রী শাপলা আক্তার। 

২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের সিংপাড়াস্থ ভারা বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনে শাপলা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ০১ এপ্রিল ২০২১ ইং শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৪১১ নং দলিলের নকল তুলতে গিয়ে দীর্ঘ ৪ মাস ঘুরেও তা উত্তোলন করতে পারেননি তিনি। উল্টো গত ২৫ সেপ্টেম্বর শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে নকল উত্তোলনের জন্য গেলে অফিস সহকারী তাকে জোর করে অফিস থেকে বের করে দেয় এবং পূনরায় এলে পুলিশ দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়। 

তিনি আরো বলেন, অফিস হতে বের হওয়ার সময় তার শ্বশুর হানিফ উদ্দিন মেম্বার, তার মেয়ের জামাই মোঃ উজ্জল মিয়া ও মোঃ বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আবারো নকল উত্তোলনের জন্য এলে তাকে খুন করে গুম করে ফেলার হুমকী দেয়। 

জানা যায়, ওই দলিল মূলে তিনি তার স্বামী শাহাদুল ইসলাম এর নিকট থেকে চার পয়েন্ট ৭৫ শতাংশ এবং তার শ্বশুর হানিফ উদ্দিন মেম্বার পোয়া শতাংশ, দুজনে যৌথ  ভাবে ৫ শতাংশ ভূমির মালিক হন। কিন্তু হানিফ উদ্দিন মেম্বার, শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের কতিপয় দুর্নীতি পরায়ণ কর্মচারীর যোগসাজসে দলিলটি গোপন করে হানিফ উদ্দিন মেম্বার তার নিজ নামে একটি ভূয়া একক দলিল সৃষ্টি করে অন্য ব্যাক্তির কাছে সেই জমি বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রী বায়নাপত্র সম্পাদন করেছেন। শাপলা আক্তার জানান, ইতিমধ্যেই তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। প্রাপ্য বৈধ ভূমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত করতেই তার দলিল আটকে রেখে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

এদিকে দলিলের নকল পেতে সহযোগিতা চেয়ে গত ২১ আগষ্ট এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাপলা আক্তার। অভিযোগের অনুলিপি জমা দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), শেরপুর এর কার্যালয়ে।

এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্টার নূর নেওয়াজ জানান, দরখাস্তে মোছাঃ শাপলা আক্তার এর স্বাক্ষর নেই। এছাড়াও দাখিলপ্রাপ্ত দলিল যাচাই অন্তে আপাত দৃষ্টিতে বুঝা যায় দু'টি পাতা পরিবর্তন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।  মামলায় ১ নম্বর আসামী হিসেবে থাকছে শাপলা আক্তার, কারণ ধারণা করা হচ্ছে শাপলা আক্তার সদর মহাফেজখানার বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাউকে দিয়ে এ অন্যায় কাজটি করিয়েছে।

 

Share icon