শেরপুরের শ্রীবরদীতে জমজ সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায় ধর্ষীতা
শেরপুরে ধর্ষণের স্বীকার এক নারী তার জমজ সন্তানের পিতৃ পরিচয় পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে আদালতে মামলা দায়েরর পর মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীকে চাপ দিচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
জানা যায়, সম্প্রতি শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এক পুত্র ও এক কন্যার জন্ম দেন ওই নারী। শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারী মিথ্যা বিয়ের নামে দীর্ঘদিন ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরের পর একই গ্রামের বাসিন্দা হাসমত আলীর ছেলে কথিত ধর্ষক মোহাম্মদ আলীকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, "ধর্ষণকারী মোহাম্মদ আলী আমাকে একজন মুন্সি দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে শারিরীক সম্পর্ক করে। পরে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সে বিয়ে অস্বীকার করে। এই নিয়ে দেন দরবার করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় পরে কোর্টে মামলা করেছি।"
ভুক্তভোগী ওই নারী আরও বলেন, "স্থানীয় মোস্তফা মেম্বার আমাকে বিয়ে কাবিন করিয়ে দিবেন এবং টাকা নিয়ে দিবেন বলে মিমাংসার প্রস্তাব দেন। পরে আমাকে কাবিননামায় সাক্ষরের কথা বলে কাগজে স্বাক্ষর নেয় এবং আমাকে টাকা দেয়ার জন্য মোহাম্মদ আলীর কাছে থেকে মেম্বার ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু মেম্বার আমাকে টাকা না দিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকে। আমি কাবিনের নকল চাইলে বলেন যে, মামলা না তুললে টাকা এবং নকল দিবেনা। পরে জানতে পারি কাবিনের কথা বলে আমার কাছ থেকে আপোষনামায় সই নিয়েছে।
কাবিনের কথা বলে মোস্তফা মেম্বার আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি আমার সন্তানদের পিতৃ পরিচয় চাই এবং মোস্তফা মেম্বার ও মোহাম্মদ আলীর বিচার চাই।" এদিকে মোস্তফা মেম্বার টাকা গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী পলাতক ছিলেন।
অপরদিকে মোস্তফা মেম্বার ওই টাকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, " ওই মহিলা আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালতের আদেশ পেয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করি। অবশেষে গতকাল তাকে শেরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।"