শেরপুরে ৯শ কেজি সরকারী চাল রেখে পালিয়ে গেলেন চাল ব্যবসায়ী !!

স্টাফ রিপোর্টার
শুক্র, 05.04.2024 - 03:13 AM
Share icon
Image

শেরপুরে পাচারের উদ্দেশ্যে ৯শ কেজি (১৫ বস্তা) পরিত্যক্ত সরকারী চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের খোয়ারপাড় এলাকায় চালগুলো উদ্ধার করা হয়।  

পরে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চালের কোন মালিক খুজেঁ না পাওয়ায়, চালগুলো জব্দ করে শেরপুর সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশনা দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজিতখিলা বাজারের ফরহাদ মিয়ার বন্ধু বীজ ভান্ডার এর দোকান থেকে ১৫ বস্তা সরকারি চাল পাচারের উদ্দেশ্যে শেরপুর শহরে নিয়ে আসা হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে অপেক্ষায় ছিলেন। পথিমধ্যে খোয়ারপাড় এলাকায় মান্নানের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তায় চালসহ অটোরিক্সা স্থানীয়দের দেখে চালগুলো রাস্তার পাশে নামিয়ে তারা চম্পট দেয়। পরে স্থানীয়রা চাল গুলো আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান, বাজিতখিলা ইউনিয়নের পূর্ব সুলতানপুর এলাকার সালাম মিয়ার ছেলে চাল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল মিয়া চালগুলো ফেলে যাওয়ার পরে আবার ওই চাল গুলো ফেরত নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয়দের রোষানলে পড়ে তার সঙ্গিসহ দ্রুত পালিয়ে যায়।

Image

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বাজিতখিলা বাজার এর বন্ধু বীজ ভান্ডার দোকান থেকে চালগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে শহরে যাচ্ছে এটা জেনে ঘটনাস্থলে থাকা লোকদের আমি জানাই। পরে অটো রিক্সা চালক ও চালের মালিক জলিল রাস্তার পাশে চালগুলো ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায়। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় মোঃ মুক্তাদির আকন্দ জানান, সরকারি চাল পাচার হচ্ছে জানতে পেরে আমরা চালসহ অটো রিক্সা আটকানোর চেষ্টা কারলে, অটো রিক্সা চালক ও চালের মালিক কৌশলে চালগুলো অটোরিক্সা থেকে নামিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বাজিতখিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাসান জানান, চাল আটকের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে তিনি জানতে পান। এ বিষয়ে তিনি পরে জেনেছেন চালগুলো বাজিতখিলা বাজার থেকে শহরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। 

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত জানান, আজ দুপুরে ১৫টি বস্তায় ভরা প্রায় ৯শ কেজি চাল পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ খবিরুজ্জামানকে সাথে নিয়ে আমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় সরকারী চাল গুলো উদ্ধার করে শেরপুর সদর থানা হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেই। এছাড়াও চাল গুলো কোথা থেকে কিভাবে এলো এবং এর সাথে কারা জড়িত আছে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এ ব্যাপারে একটি নিয়মিত মামলা করার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। 

Share icon