যোগদান করেই প্রশংসায় ভাসছেন শেরপুরের এসপি আকরামুল
শেরপুরের দুই উপজেলাতে প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন হওয়ায় শেরপুরের নবাগত এসপি আকরামুল হোসেন পিপিএম যোগদান করেই বিভিন্ন মহলে প্রশংসায় ভাসছেন।
জানাগেছে , গত ৮ মে জেলার শ্রীবরদি ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে অত্যান্ত কঠোর অবস্থান নেন জেলা পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন পিপিএম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন নবাগত এসপি দুই উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন সহ মাঠে উপস্থিত থেকে তদারকি ও খোঁজ খবর নেন। এছাড়াও দিনব্যাপী তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পোলিং-প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটারদের নির্বাচনী আইনি তথ্য যথাযথ ভাবে পালনের নির্দেশ দেন।
ফলে দুই উপজেলার কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি , কারচুপি, প্রভাব বিস্তার, অনিয়ম সহ অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দিনব্যপী শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নানা মহলের আস্থা অর্জন করেন নবাগত এসপি।
উল্লেখ্য - শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন পিপিএমপ (সেবা) ২৫ তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। সে চুয়াডাঙ্গা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের কৃতি সন্তান। তিনি চাকুরী জীবনে পুলিশের নানা ইউনিটে সুনাম ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) ভূষিত হয়েছেন। গত ২ মে বর্তমান কর্মস্থল শেরপুর জেলায় যোগদানের পূর্বে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগে উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম এ সাংবাদিককে বলেন, চলতি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছেন, সেটাই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য। আমার পুলিশের সদস্যরা যদি কোনো পর্যায়ে নিরপেক্ষতা না দেখায় আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। ১ম ধাপের উপজেলা নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন ভাবে শেষ করেছি। আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে। শেরপুরের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বশক্তি প্রয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।