শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে সনাতন ধর্মের যুবতীকে ধর্ষনের অভিযোগ
শেরপুর সদর উপজেলার পৌর শহরে বিয়ের প্রলোভনে হিন্দু সনাতন ধর্মের তরুণীকে দীর্ঘদিন যাবত ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে রঞ্জন সাহা (২৬) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন দাখিল করেন।
অভিযুক্ত রঞ্জন সাহা পৌর শহরের সজবরখিলা এলাকার দিলীপ চন্দ্র সাহার ছেলে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি রঞ্জন সাহা ভুক্তভোগী তরুনীর বাড়ীর পাশে খোয়ার পাড় এলাকায় অবস্থিত চন্দন রাইছ মিলে ম্যানেজার হিসেবে চাকুরী করেন। গত ১ বছর যাবত ওই তরুনীকে অভিযুক্ত রঞ্জন সাহা বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়া উত্যক্ত করিয়া আসতেছিল।
এ ব্যাপারে তরুণীর ভাই রতন চন্দ্র বর্মনকে জানালে তারা ওই বিষয়টি নিয়ে রঞ্জন সাহাসহ তাদের পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু তারা তাদের কথার কোন কর্ণপাত না করে বরং আসামী রঞ্জন সাহা গোপনে চরম শত্রুতা পোষণ করে আসছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২জুন দুপুর ২টার দিকে তরুনী তার ঘরের দরজা চাপাইয়া ঘুমিয়ে ছিল। ওই সময় রঞ্জন সাহা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ওই তরুনীকে জাবরাইয়া ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ওইসময় ঘরের ভিতর ধস্তাধস্তির শব্দ শুনিয়া তরুনীর বৌদি ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ডাক চিৎকার করলে আসামী রঞ্জন সাহা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই আসামী রঞ্জন সাহা ওই তরুনীকে এবিষয় নিয়ে কোন মামলা মোকদ্দমা করলে তরুনীসহ তার পরিবারের লোকজনকে খুন করিয়া লাশ ঘুম করিয়া ফেলবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই রতন চন্দ্র বর্মন বলেন, রঞ্জন সাহা দীর্ঘদিন যাবত আমার ছোট বোনকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসলে আমার বোন আমাকে জানালে আমি রঞ্জন সাহার পরিবারকে বিষয়টি জানাই কিন্তুু তারা বিষয়টি নিয়ে তারা কোন কর্ণপাত করেন নাই, বরং উল্টো শত্রুতা পোষণ করে আমার বোনকে ধর্ষন করলো। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর বৌদি বলেন, বাহিরে আমি রান্নার কাজ করতে ছিলাম হঠাত ঘরের ভিতরে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে ঘরের ভিতর রঞ্জন সাহাকে দেখতে পেয়ে আমি ডাক চিৎকার করলে রঞ্জন সাহা দৌড়ে পালায়ে যায়। আমরা তার বিচার চাই।
