শেরপুর-জামালপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর ইজারার দরপত্র ছিনতাই

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
শুক্র, 21.06.2024 - 07:27 AM
Share icon

শেরপুর জেলা থেকে জামালপুর সীমান্তবর্তী  সড়কে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত “শেরপুর-জামালপুর বনগাঁও ব্রহ্মপুত্র সেতু” এর টোল আদায়ের জন্য জমাকৃত দরপত্র ছিনতাই করেছে একটি চক্র। ২০ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তৃতীয় তলায় সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেনের কক্ষে ওই ঘটনা ঘটে।

ওই সময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সড়ক সার্কেল) সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন এবং অফিস সহকারী লক্ষী রাণী লাঞ্ছিত ও আহত হয়। ইতোমধ্যে এ ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। এটা একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবি করেছেন ছিনতাই হওয়া দরপত্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অর্ণব ব্রিকস এর প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা। এ ঘটনায় জামালপুর সড়ক সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, শেরপুর সড়ক বিভাগ চলতি বছরের ১জুলাই হতে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ১হাজার ৯৫ দিনের জন্য ওই সেতুটির টুল আদায়ের দরপত্র আহ্বান করেন। চলতি মাসের ১১ জুন দরপত্রটি আহ্বান করা হয়।আজ ২০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারিত ছিল।

উল্লেখ্য, শেরপুর সড়ক বিভাগ থেকে টেন্ডারের বিজ্ঞাপনে একাধিক স্থানে দরপত্র জমা দেয়া যাবে মর্মে নির্দেশনা দেয়া ছিলো।

উল্লেখিত স্থানগুলো হলো, শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শেরপুর, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলা সড়ক ও জনপদ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়। এছাড়াও শেরপুর সড়ক বিভাগের আওতাধীন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় সমূহে।

২০ জুন দুপুর ১২ টার পর একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দেয়ার কিছুক্ষন পরেই বহিরাগত একদল লোক অফিসপক্ষে প্রবেশ করে জোর করে অফিসে জমাকৃত দরপত্র গুলোর ফাইল  ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে ওই সময় কক্ষের ভিতরে বাইরে নিরাপত্তা কর্মীদের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এতে বহিরাগতরা বিনা বাঁধায় নির্বিঘ্নে অফিস ত্যাগ করেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সড়ক সার্কেল) জামালপুরের সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘১২টা ২০ মিনিটে একটি শিডিউল ড্রপ হয়। সাড়ে ১২টার পর টেন্ডার বাক্স খুলে দরপত্রটি আমার রুমে নিয়ে আসা হয়। দরপত্রটিতে স্মারক নম্বর দেওয়ার সময় ৬ থেকে ৭ দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা করে দরপত্রটি ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় তাঁরা আমাকে ও আমাদের অফিস সহকারী লক্ষী রাণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।’

শেরপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেয়া দরপত্র জমা দেয়ার জন্য কয়েকটি স্থান দেয়া হয়েছে। তবে জামালপুরে ‘দুর্বৃত্তরা এসে অফিসের স্টাফদের লাঞ্ছিত করে দরপত্র ছিনতাই করেছে। তবে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্ল্যেখ্য, গত অর্থ বছরে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকায় শেরপুর-জামালপুর বনগাঁও ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের ইজারা পেয়েছিলেন  মেসার্স রাব্বি নুর প্রেডার্স।

Share icon