জালিয়াতির মাধ্যমে চন্দ্রকোনা কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি আ'লীগের ওমর ফারুক- প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
বুধ, 01.01.2025 - 04:35 PM
Share icon
Image

আওয়ামী লীগের সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ঘনিষ্ঠ সহচর শেরপুরের নকলা উপজেলার মো: ওমর ফারুককে চন্দ্রকোনা কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী ধূসর মোঃ সালমান আলমকে বিদ্যোৎসাহী করে জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে এডহক কমিটির পদ ভাগিয়ে নিয়ে আসার অভিযোগে মানববন্ধন  করেছে ওই কলেজর শিক্ষক - শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সহকারি অধ্যাপক কামাল আজাদ ওই কলেজের ভুয়া অধ্যক্ষ সেজে ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে ওই এডহক কমিটি পাস করিয়ে নিয়ে আসার সহযোগিতা করেছে। বক্তারা বলেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে কলেজের কলেজের শিক্ষার্থী অভিভাবক সহ সকলেই উৎকণ্ঠে রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটবে। এই অবস্থা দীর্ঘদিন বিরাজ করলে কলেজের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্যাকেট করার সম্ভাবনা আছে। 

মানববন্ধন কারীদের দাবি, জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে যারা ওই কমিটি পাস করিয়ে নিয়ে এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের স্বাক্ষরিত একটি কমিটির সভাপতি ও বিদ্যুৎ সদস্য পরিবর্তনের আবেদন অনুমোদন করে নিয়ে আসে আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক ও কামাল আজাদ। 

এ ব্যাপারে নকলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: খোরশেদুর রহমান জানান, সে গাজী দস্তগীরের ওখানে চাকরি করতেন এবং সে আওয়ামীলের সকল কর্মকান্ড জড়িত ছিল। আমরা শুনছি, গাজী দস্তগীরের প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউনটেন্ট থাকার সুবাদে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এলাকায় চলে এসেছে। ওই টাকার গরমের সে বিভিন্ন প্রোগ্রামে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান করে আসছে। এই ধরনের লোক হঠাৎ করে হঠাৎ করে এই কমিটিতে আসায় আমরা হতাশ।

এ ব্যাপারে নকলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক,আলহাজ্ব মাহমুদুল হক দুলাল বলেন, ওমর ফারুক সাবেক পাট মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। সে গাজী টায়ারের অ্যাকাউন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছিল। সে আওয়ামী সমর্থন করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। 

এ ব্যাপারে চন্দ্রকোনা কলেজের প্রভাষক মো. তারিকুজ্জামান জানান, আমরা এই অবৈধ ভুয়া অ্যাডহক কমিটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছি। এ কমিটি তারা জাল জালিয়াতি করে জাতীয় ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে যে কমিটি পাস করিয়ে নিয়ে এসেছে তার কোন বৈধতা নেই। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, তদন্ত সাপেক্ষে ওই ভুয়া কমিটি বাতিল পূর্বক পূর্বের কমিটি বহাল রাখা হোক।

ওই কলেজের প্রভাষক মো. এনামুল হক জানান, আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ সকল কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। তারা জাল-জালিয়াতি করে ওই কমিটি পাস করিয়ে নিয়ে এসেছে। সে কারণে গত ১৭ ই ডিসেম্বর ওই কমিটি পরিবর্তনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে রেখেছি। আমার বিশ্বাস যথাযথ কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পূর্বের কমিটি বহাল রাখবেন। 

স্থানীয়দের দাবী, এ অবস্থায় কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষকবৃন্দসহ এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপকভাবে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, ভুয়া কমিটি দেযার কারণে কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও এই কলেজের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে অবনতি হওয়ার শংকা রয়েছে।

Share icon