নীরব ঘাতক রউফ ও মুকুল সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট শেরপুরের মানুষ
শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর শহরের মাধবপুরের জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস উদ্দীনের ছেলে একাধিক হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রউফ ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর ভারতীয় অবৈধ ঔষধ ও মাদক চোরাচালান ব্যবসায়ী নারায়ণপুরের মুকুল দালাল মিলে কয়েক জনের সিন্ডিকেট তৈরি করে গত দুই মাস যাবত এক সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দেয়ার হুমকির অভিযোগ করেছে এক সাংবাদিক। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চাঁদা না দিলে তাকে একাধিক মামলায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে হয়রানি করবে তারা।
জানাযায়, শেরপুরের শীর্ষ বিএনপি নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আব্দুর রউফ। তার নাম ভাঙ্গিয়ে শেরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও আনন্দ টিভির শেরপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক মারুফুর রহমানকে গত দেড় মাস যাবত একাধিকবার হুমকি দিয়েছে চাদা দেয়ার জন্য। তারই ফলশ্রুতিতে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই চাঁদাবাজদের দাবি পূরণ না করাতে হত্যা মামলা সহ ৩ টি মামলায় তার নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে চাঁদাবাজরা। এই ঘটনায় সাংবাদিক মহল সহ সচেতন মানুষরা উদ্বিগ্ন।
এই বিষয়ে সাংবাদিক মারুফ জানান, ওই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যরা গত দুই মাস যাবত আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। দাবি পূরণ না করলে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা নাম দিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করে দিবে বলে তারা হুমকি দিয়েছে। আমি তাদের এই অনৈতিক দাবি মানার না কারণে আমাকে গত গত তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনটি মামলায় নাম জড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে গত দুই মাস আগে তারা যখন আমাকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিল, তখন আমি শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তদন্ত ওসিকে বিষয়টি শশরীরে উপস্থিত হয়ে অবগত করেছিলাম। তারপরও ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে শেরপুর সদর থানায় আরও একটি দ্রুত আইনের মামলায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। আমি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, যে সমস্ত ঘটনা দেখিয়ে আমার নাম মামলায় দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে সেই মামলার সাথে আমার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এই মিথ্যা মামলা গুলো দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জুর দাবী জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের প্রতি।
এ ব্যাপারে শেরপুর প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎ করলে পুলিশ জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ নিরপরাধ কাউকে অযথা হয়রানি করবেনা বলে সাংবাদিক নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন। এছাড়াও তদন্ত সাপেক্ষে যত দ্রুত সম্ভব ওই মামলা গুলোর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করা হবে।
শেরপুরে সচেতন মানুষদের দাবি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন নিরপরাধিদের মুক্ত করে ওই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। ৫ই আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এই সমস্ত চাঁদাবাজদের কারণে শেরপুরে সুনাম নষ্ট হচ্ছে। শেরপুরের সোনাম ফিরিয়ে আনতে চাইলে এই ধরনের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ প্রতিনিধি অভিযুক্তদের সাথে এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।