শেরপুরে এ পর্যন্ত ৬টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

শেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ছয়টি ইটভাটা পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আজ ২টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৯ মার্চ রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার বাজিতখিলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে মেসার্স মুন ব্রিকস ও বিপি ব্রিকস ম্যানুয়ালে ওই ভাংচুর করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আসমা আক্তার। এ সময় প্রসিকিউশন প্রদান করেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস।
অভিযানকালে অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনার জন্য বাজিতখিলা এলাকার মেসার্স মুন ব্রিকস ও বিপি ব্রিকস ম্যানুয়ালের চিমনি বেকু দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করে ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
এ নিয়ে গত কয়েকদিনে জেলার ৬টি ইটভাটা পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হলো।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, যে সমস্ত ইটভাটা গুলি পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়েছে সেগুলো পুনরায় কার্যক্রম পরিচালনা করার কাজ চলমান আছে। ইট ভাটারিমনি চিমনি গুলি ১০০ থেকে ১৩০ ফিট পর্যন্ত উচ্চতা ছিল আগে। ওই সমস্ত ইট ভাটা গুলোতে এখন ৩০ ফিটের চিমনি বসানোর কাজ চলমান আছে। এতে করে পরিবেশের উপর আরো হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
অভিযানকালে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. নূর কুতুবে আলম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যবৃন্দ, পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. নূর কুতুবে আলম সিদ্দিক জানান, রীট পিটিশন নং ১৩৭০৫/২০২২ এর আলোকে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবেশ দূষণ রোধে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।