চাকরি পুনর্বহাল ও এমপিওভুক্তির দাবিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক এর সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার
রবি, 07.09.2025 - 11:19 PM
Share icon
Image

শেরপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "জঙ্গলদী উচ্চ বিদ্যালয়ে"র সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের জমিদাতা পরিবারের সন্তান মোঃ শাহাদাত হোসেন চাকরি পুনর্বহাল এবং এমপিওভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন জঙ্গলদী গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় গ্রামবাসী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মোঃ শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার স্নিগ্ধা দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছেন। তিনি বলেন, “প্রায় ২৫ বছর ধরে আমি বিনা বেতনে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। ২০২০ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে আমাকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বরং পতিত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ব্যবহার করে চারবার নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করানো হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি নিজে ৩৫ শতাংশ জমি এবং তার সহোদর ভাই অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়কে দান করেছেন। অথচ এ ত্যাগ-তিতিক্ষার পরও তাকে অবমূল্যায়ন ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শাহাদাতের অভিযোগ, আদালত একাধিকবার তার পক্ষে রায় দিলেও প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার স্নিগ্ধা গোপনে রিট দায়ের করে রায় কার্যকর হতে দিচ্ছেন না এবং নানা কৌশলে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার স্নিগ্ধা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। তার অবহেলা ও অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে এবং শিক্ষার মান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে একসময়ের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান জঙ্গলদী উচ্চ বিদ্যালয় আজ ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীরাও প্রধান শিক্ষিকার নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার স্নিগ্ধা বলেন, “হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি। আমার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত বোধ করছি। তবে আশা করি সমস্যার একটি সমাধান হবে।”

পরিশেষে ভুক্তভোগী সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেন মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে তার চাকরি পুনর্বহাল ও এমপিওভুক্ত করার জোর দাবি জানান। একইসাথে তিনি উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের ন্যায়বিচারের পথে সহযোগিতা কামনা করেন।

Share icon