জামাতসহ কয়েকটি ইসলামী দল নির্বাচন নস্যাৎ করারা চেষ্টা করছে – জাসাসের কর্মী সম্মেলনে বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স

মারুফুর রহমান, শেরপুর : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জামাত এবং কয়েকটি ইসলামী দল নির্বাচনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসন্ন নির্বাচনকে নস্যাৎ ও প্রতিহত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। গত ১৬ বছর তারা নির্বাচনের নামে প্রহসন দেখেছে, ভোট দিতে পারেনি। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের এই নির্বাচন সফল করতে হবে। কিন্তু জামাতসহ কয়েকটি ইসলামী দল আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুর শহরের মাধবপুর স্বপ্নীল কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) শেরপুর জেলা শাখার আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
“গাইবো মোরা গণতন্ত্রের গান, দু:শাসনের হবেই অবসান” স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা চৌধুরী বেবি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ওয়ারেজ আলী মামুন, শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মো. লিয়াকত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস ফকির, ইঞ্জিনিয়ার মো. জাকির হোসেন, সদস্য এটিএম আশরাফ হোসেন শাহীন ও ছামছুল হোসাইন।
এছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ভিপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাশাপাশি শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক এনামুল হক বিপুসহ জাসাসের বিভিন্ন স্থানীয় নেতৃবৃন্দও কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন। শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
কর্মী সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা দেশাত্মবোধক ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত গান পরিবেশন করেন। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।