শেরপুরে বিরোধের জেরে কৃষকের কচুক্ষেত নষ্ট, সেচ মোটর চুরি
মারুফুর রহমান, শেরপুর | ২ নভেম্বর ২০২৫
শেরপুর সদর উপজেলার হরিণধরা গ্রামে স্থানীয় বিরোধের জেরে এক কৃষকের সেচ মোটর চুরি ও কচুক্ষেত কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ওই গ্রামের কৃষক মো. ছামিদুল ইসলাম মণ্ডল (৪৮)।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাতে তিনি শেরপুর সদর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, আসামি মো. সোহাগ মিয়া, মো. হৃদয় হাসান বাবু, খোরশেদ আলম ফা মিয়া, জামাল উদ্দিনসহ ১৩ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাদীর সেচ মোটরঘরের তালা ভেঙে মোটর ও প্রায় ১ হাজার ৭০০ ফুট বৈদ্যুতিক তার খুলে নিয়ে যায়। ওই সময় স্থানীয়রা ডাকচিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়।
পরে বাদীসহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, তার প্রায় ৫০ শতাংশ জমির কচুক্ষেত কেটে নষ্ট করা হয়েছে। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে হত্যামামলাসহ বিভিন্ন বিরোধ চলছে। কিন্তু বিরোধের জেরে এমনভাবে ফসল ও সম্পদ নষ্ট করা হবে- তা কল্পনাতীত।
মামলার বাদী মো. ছামিদুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, “আমি পরিশ্রম করে কচুর ক্ষেত করেছিলাম। শনিবার রাতে তারা পরিকল্পিতভাবে মোটর চুরি করে নিয়ে যায় এবং ক্ষেত কেটে নষ্ট করে দেয়। এতে আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি আইনের সঠিক বিচার চাই।”
ভুক্তভোগীর নাতি সিফাত হোসেন বলেন, “আমরা রাতে ডাকচিৎকার শুনে বাইরে যাই। দেখি, কয়েকজন লোক মোটর খুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের দেখে দ্রুত পালিয়ে যায়।”
ভুক্তভোগীর ছেলে মো. ফারহান তানভির বলেন, “বাবার ফসলের এমন ক্ষতি হওয়ায় আমরা অত্যন্ত কষ্টে আছি। এ ধরনের কাজ করে কেউ লাভবান হয় না, বরং মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট হয়।”
ভুক্তভোগীর ফুফাতো ভাই আরিফ হাসান বলেন, “ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ—বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হোক।”
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
