শেরপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি মুক্তা, সম্পাদক মামুন বিজয়ী

স্টাফ রিপোর্টার
শনি, 06.12.2025 - 11:33 PM
Share icon
Image

মারুফুর রহমান, শেরপুর:

উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেরপুর জেলা হালকা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা এই নির্বাচনে ৬৮৮ জন ভোটারের মধ্যে ৬০৭ জন ভোট দেন। রাতে সাড়ে নয়টায় নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে।

২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিতভাবে তিন বছর অন্তর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ১১ সদস্যের কার্যকরী পরিষদের চারটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বাকি সাতটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৪ জন প্রার্থী। ভোটকেন্দ্র মাধবপুর রোড এলাকাজুড়ে ছিল শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ও উৎসবমুখরতা।

ফলাফল:

সভাপতি: মোঃ আসাদুজ্জামান মুক্তা (আনারস) ৫৪৮, প্রতিদ্বন্দ্বী: মোঃ সোলাইমান (ছাতা) ৮৬।

★কার্যকরী সভাপতি: মোঃ শফিকুল ইসলাম (আম) ৫১৬, প্রতিদ্বন্দ্বী: আমিনুল ইসলাম হানিফ (চাকা) ৩৫।

★সহ-সভাপতি: মোঃ রনি হোসেন (হাঁস) ৩৭১, প্রতিদ্বন্দ্বী: রুকনুজ্জামান মোল্লা বাবুল (ফুটবল) ২০৫।

Image

★সাধারণ সম্পাদক: মোঃ আল মামুন শিকদার (সাইকেল) ৩৩৬, প্রতিদ্বন্দ্বী: মোহাম্মদ রুবেল (গরুর গাড়ি) ২৪৮।

★যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মোঃ খোরশেদ আলম (টেম্পু) ৩৯২, প্রতিদ্বন্দ্বী: মোঃ শাহিন মিয়া (গরুর গাড়ি) ২৪৮

★সহ-সাধারণ সম্পাদক: মোঃ স্বপন মিয়া (টেলিফোন) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।

★সাংগঠনিক সম্পাদক: মোঃ আতিকুল ইসলাম (খেজুর গাছ) ৩৯৬, প্রতিদ্বন্দ্বী: মোঃ শাকিল (মাছ) ১৭৪।

★কোষাধ্যক্ষ: মোঃ এরশাদ আলম (হাতি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।

★দপ্তর সম্পাদক: মোঃ সোহেল রানা (প্রাইভেট কার) – ৩৭০, প্রতিদ্বন্দ্বী: মোঃ শফিকুল ইসলাম (উড়োজাহাজ) ২০৬।

★প্রচার সম্পাদক: মোঃ লাদেন মিয়া (হরিণ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।

★কার্যকরী সদস্য: মোঃ তৈয়ব আলী রাজু (মই) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।

নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল বলেন,“পুরো নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।”

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, “এই নির্বাচন শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও শক্তিশালী করেছে। নতুন কমিটি শ্রমিক কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।”

সংশ্লিষ্টদের মতে, বিপুল ভোটার উপস্থিতি শ্রমিকদের আস্থাশীলতা ও নেতৃত্ব নির্বাচনে সচেতনতার প্রতিফলন। নবনির্বাচিত কমিটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শ্রমিক ঐক্য আরও সুদৃঢ় করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Share icon