শেরপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
সোম, 13.11.2017 - 11:33 PM
জি.এইচ হান্নান শেরপুর ।।
শেরপুরে ছদ্মনাম মালা (১৮) নামে এক যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে মোস্তফা মিয়া (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ট্রাইব্যুনাল। ১৩ নভেম্বর সোমবার দুপুরে নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন একমাত্র আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জরিমানার ওই অর্থ ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণ-পোষণে পরিশোধ করতেও আদেশ দেওয়া হয়। দন্ডিত যুবক মোস্তফা নকলা উপজেলার কুড়েরকান্দা গ্রামের কৃষক সিরাজ আলীর ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার নথির উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নকলা উপজেলার কুড়েরকান্দা গ্রামের লম্পট মোস্তফা মিয়া ওরফে মস্তু প্রতিবেশী দরিদ্র পরিবারের ওই যুবতীকে তার বসতঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে যুবতী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি মোস্তফার পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা আপোষ-মিমাংসার নামে সময় কালক্ষেপন করতে থাকে এবং মোস্তফাকে অন্যত্র সরিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় একই বছরের ৪ অক্টোবর ধর্ষিতা যুবতী বাদী হয়ে মোস্তফা, তার পিতা ও ২ ভাইসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ওইদিনই থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ধর্ষক মোস্তফা। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বন্দে আলী একই বছরের ২৩ নভেম্বর একমাত্র মোস্তফার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরই মধ্যে ধর্ষিতা তরুণীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান এবং তার নাম রাখা হয় সৌরভ।
এরপর মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি হলে আসামীপক্ষ ওই সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় সে ধর্ষক মোস্তফার সন্তান। বিচারিক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষে বাদী-ভিকটিম. চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মোস্তফাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থ জরিমানা করা হয়।