শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কার্বাইড দিয়ে পাকানো হচ্ছে বিভিন্ন ফল
সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
মঙ্গল, 21.11.2017 - 10:59 PM
জিএইচ হান্নান, শেরপুর ।। শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় কার্বাইড দিয়ে পাকানো হচ্ছে কলা সহ বিভিন্ন ফল। রাতে যে ফল কাঁচা দেখা যায়, তা সকালেই টসটসা পাকা রসালো ফল হয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কার্বাইড ব্যবহার ছাড়াও কৃত্রিম ভাবে পাকানো কলা ও বিভিন্ন ফল। দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে, এসব ফলই সর্বনাশ করে চলছে মানবদেহের। এসব ফল খেয়ে মানুষ পেটের পীড়াসহ কঠিন ও জটিল নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জানা যায়, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অতি লাভের আশায় মানুষের জীবন বিনষ্ঠ এ কাজে লিপ্ত হলেও এদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না আইনগত কোন কার্যকর ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীরা কম দামে কাঁচা কলা কিনে রাতারাতি কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। রাতে যে কলা সহ বিভিন্ন ফল কাঁচা, সকালেই তা ম্যাজিকের ন্যায় পাকা হয়ে বের হয়ে আসছে বাজারসহ বিভিন্ন দোকানে। আর এ কাজটি অহরহ চলছে প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই। যা চলছে অনেকটা প্রকাশ্যেই বলেও জানা যায়।
জানা যায়, কার্বাইড এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা কিনা বাতাসের সংস্পর্শে এলে তৈরি হয় অ্যাসিটিলম গ্যাস। যা লোহা কাটার জন্য গ্যাস কার্টারে লাগিয়ে ব্যবহৃত হয়। অ্যাসিটিলম গ্যাসের উত্তাপ প্রচন্ড বেশী। আর কার্বাইডের মাধ্যমে এ উত্তাপেই পাকানো হয় কলা সহ বিভিন্ন ফল। যা কিনা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এমন বক্তব্য দিয়েছেন চিকিৎিসক মহল।
চিকিৎসকরা জানান, কার্বাইড দিয়ে ফল পাকালে ফলের ভেতর বিষ ঢুকে। যা খেলে মানুষের শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে পেট খারাপ, স্মৃতিভ্রম, মাথা ব্যাথা, খিচুনী ও বমি বমি ভাব সহ কঠিন ও জটিল নানা রোগের উৎপত্তি হতে পারে বলে আশংকা করেছেন চিকিৎসক মহল।