শেরপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা - গ্রেফতার ৯

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
বুধ, 07.02.2018 - 12:15 AM
Share icon

সময় ডেস্ক ।। নাশকতা সৃষ্টি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় শেরপুর জেলা বিএনপি’র শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। উল্লেখিত মামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ মোট ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাতে শেরপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. কামাল হোসেন (৩৫) ও মো. আমিনুল ইসলাম (৩৮) নামে যুবদলের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।   এরআগে সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীতে শহরের মাধবপুর মহল্লাস্থ বাসা থেকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। একই সাথে ওইদিন শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি কর্মী মিঠু মিয়া, সাইফুল ইসলাম, জয় চক্রবর্ত্তী ও অমিত পালকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে নাশকতা সৃষ্টি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।   সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি নেতা হযরত আলীকে গ্রেফতারের পর নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সোমবার রাতে বিএনপি কর্মীরা শহরে ৬-৭টি অটোরিক্সা ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত কামাল হোসেন ও আমিনুল ইসলামসহ ৩২ জনের নাম সুনির্দিষ্ট করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।   ওসি মো. নজরুল ইসলাম আরও জানান, গত সোমবার গ্রেফতারকৃত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, বিএনপি কর্মী মিঠু মিয়া, সাইফুল ইসলাম, জয় চক্রবর্ত্তী ও অমিত পালসহ ৪৩ জনের নাম সুনির্দিষ্ট করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। হযরত আলীসহ গ্রেফতার পাঁচজনকে আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।   এদিকে শ্রীবরদীতে নাশকতামূলক কর্মকা-ের পরিকল্পনার অভিযোগে যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক খোরশেদ আলম ও তাতিহাটী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম। এদের নিকট থেকে পুলিশ তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে। ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কলেজ রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।   শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদেরকে শেরপুরের বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।   এদিকে পুলিশের গ্রেফতার আতংকে জেলা বিএনপি’র প্রায় সকল নেতা-কর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েছে বলে জেলা বিএনপি’র সভাপতি  মাহমুদুল হক রুবেল জানিয়েছেন।
Share icon