শেরপুর-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিদ ডিউন
সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
রবি, 18.03.2018 - 04:10 PM
সময় ডেস্ক।। শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতি) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিদ আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আ.স.ম হোসেন আল ফারুক ডিউন। ডিউনের রাজনৈতিক জীবন শুরু ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের নানা পদে দায়িত্বশীলতার সাথে রাজনীতি করে আসছেন এই মধ্য বয়সি রাজনীতিবিদ। তার বাবা অধ্যাপক (অবঃ) আবুল হোসেন একজন স্বজ্জন ব্যক্তি হিসেবে জেলায় বেশ পরিচিতি রয়েছে। মেধাবি ছাত্র হিসেবে নানা জায়গায় স্বাক্ষর রাখলেও আজীবন রাজনীতি করবেন বলে সরকারি কোন চাকুরির সাথে নিজেকে যুক্ত করেননি তিনি। এই কৃষিবিদ আল ফারুক ডিউন ১৯৯১ সালে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যায় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য , ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার খামার বাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট এর নির্বার্হী কমিটির নির্বাচিত কৃষি ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। শেরপুর জেলার রাজনীতিতে বর্তমানে কোন পদে না থাকলেও ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের জনসভা গুলোতে তথ্য ভিত্তিক সুবক্তা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন। জানা গেছে, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিউন ব্যাপক পুলিশি নির্যাতনে শিকার হন। ১৯৯৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনে থাকা অবস্থায় ঢাকার ফার্মগেইট মিছিল থেকে এবং ২০০৬ সালে খালেদা বিরোধী আন্দোলনে আব্দুল্লাহপুর থেকে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবরন করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ডিউনের দাদার বাড়ী ঝিনাইগাতি উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন হলেও তিনি মূলত বেড়ে উঠেছেন শ্রীবরর্দী উপজেলার নানা বাড়ী থেকেই। তার নানা বাড়ী শ্রীবরর্দী উপজেলার চক কাউরিয়ার মাষ্টার বাড়ীতে। ডিউনের নানা সামছুল হক ওই এলাকার একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ছিলেন। খালা অধ্যাপক ডাঃ কামরুন্নাহার জেলার একজন বিশিষ্ট গাইনি চিকিৎসক। অপর মামা জাকিউল ইসলাম আলমগীর একটি বহু জাতিক ঔষধ কোম্পানীর প্রধান ক্যামিষ্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। তার চাচারা সবাই স্বপ্রতিষ্ঠিত। ডিউনরা দুই ভাইবোনের মধ্যে বোন জান্নাতুল ফেরদৌস পোলেন ময়মনসিংহের গৌরিপুর সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক এবং বর্তমানে পিএইচডি করছেন। হোসেন আল ফারুক ডিউনের বাবার করা শহরের বাড়ী পৌরসভার তেরাবাজর এলাকা থেকে নির্বাচনী এলাকার মানুষজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তিনি ব্যক্তি জীবনে তিন ছেলে সন্তানের জনক। স্ত্রী মেহেরুন্নেছা একটি মাদরাসার সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসন থেকে যে দল এমপি পেয়েছে সে দলই সরকার গঠন করেছে তাই শেরপুর ৩ আসনকে লাকি আসন ধরা হয়। অন্তত দেড় ডজন প্রার্থীর মধ্যে তিনি হঠাৎ কেন মনোনয়ন চান এমন প্রশ্নের জবাবে ডিউন জানিয়েছেন, এখানে সবাই চায় এমপি হতে। এত সংখ্যক প্রার্থী বাংলাদেশে আর কোন আসনে নেই। ফলে এসব প্রার্থীর প্রচারনায় ভোটাররাও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। দলের নৌকা সবাই চান কিন্তু এই আসনের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে অবহেলিত। অনেক নেতাকর্মী এখনও আদালতে হাজিরা দেয়। গুটি কয়েক নেতা ছাড়া সরকারি দলের সুবিধা কেউ পায়নি। আর দুই উপজেলাতেই কয়েকজন নেতার অত্যাচারে অনেক নেতাকর্মী রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে। তিনি প্রথম অবস্থায় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া বঞ্চিত নেতাদের সাথেই যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তিনি আরো জানায়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি মনোনয়ন চাইব নেত্রী মনোনয়ন না দিলে যিনি মনোনিত হবেন, নৌকার খাতিরেই তার জন্য জানপ্রান দিয়ে লড়বো। এ আসনে দ্বিতীয় বার মেয়াদে এমপি রয়েছেন প্রকৌশলি একেএম ফজলুল হক। গেল নির্বাচনের পর ফজলুল হক অনেকটা নিস্কৃয় হলেও এখন ব্যাপক জনসংযোগে আছেন। প্রথম বার নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ব্যাপক সমোলোচানায় ছিলেন এই এমপি। তবে এবার তিনি নির্বাচনি এলাকার দুই উপজেলাতেই বেশ উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগ ও স্থানীয় কিছু নেতার সাথে তার বিরোধ চরমে। এসব নেতাদের এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এই এমপিকে দিয়ে আর হবে না বলে দলের মধ্যে কেউ কেউ মাঠে নামার কথা বলছেন। আবার কেউ কেউ শুধু বক্তব্যেই প্রার্থী বনে যাচ্ছেন। এ আসনে সরকারি দল আওয়ামীলীগে এক ডজনেরও বেশী প্রার্থীরা রয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমান সাংসদ প্রকৌশলী ফজলুল হক চান, শ্রীবরর্দী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন, সাবেক সাংসদ (জাপা) খন্দকার মো. খুররম, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরল ইসলাম হিরু, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি ইফতেখার হাসান কাফি জুবেরী, এডিএম শহীদুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মহিলা আওয়ামীগ নেত্রী নাসরিন আক্তার ফাতেমা রহমান, ঝিনাইগাতি উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি এসএমএ ওয়ারেছ নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক আমিুজ্জামান লেবু, কৃষিবিদ ফররুখ আহাম্মেদ, কৃষিবিদ আল ফারুক ডিউন, সাবেক সাংসদ আব্দুল বারীর পুত্র মহসিনুল বারী রুমি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান রাজা, সমুদ্র সীমানা বিজয় মামলার প্রসিকিউটর খোরশেদ আলম প্রমূখ ।