শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে দুই কলেজ ছাত্রের ৫ বছরের কারাদন্ড

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
মঙ্গল, 20.03.2018 - 11:56 PM
Share icon
  শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা ও ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ডেগার মেরে আহত করার দায়ে দুই কলেজ ছাত্রকে ৫ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। ২০ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোসলেহ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো-শেরপুর সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের হাওড়াপাড়া গ্রামের আশেদ আলীর ছেলে মো. আরিফ মিয়া (২২) ও একই গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে লাল চাঁন মিয়া (২০)। শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রায়ে একইসাথে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে ২ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষনা করা হয়। তিনি বলেন, আসামীরা অনার্স পড়–য়া শিক্ষার্থী হওয়ায় বয়স ও সার্বিক বিবেচনায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) খ/৩০ ধারায় (ধর্ষণ চেষ্ঠা ও পরষ্পর যোগসাজসের অভিযোগ) সর্বনি¤œ সাজা ঘোষণা করেছেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে পিপি জানান, শেরপুর সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের হাওড়াপাড়া গ্রামের অনার্স পড়–য়া কলেজ ছাত্র আরিফ মিয়া একই গ্রামের জঙ্গলদী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে প্রেমের প্রলোভনে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।   ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাতে ওই স্কুলছাত্রী নিজ বসতঘরে তার ছোট বোনের সাথে ঘুমিয়ে ছিলো। মধ্যরাতে আরিফ মিয়া তার সহযোগী লালচাঁনকে সাথে নিয়ে স্কুলছাত্রীর ঘরের দরজার বান কেটে বসতঘরে প্রবেশ করে তাকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। স্কুলছাত্রী সেসময় ঘুম থেকে জেগে নিজের শ্লীলতাহানি রক্ষার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আরিক তার হাতে থাকা ডেগার দিয়ে স্কুলছাত্রীকে আঘাত করে। এতে তার হাতে জখম হয়ে আহত হয়। স্কুলছাত্রীর ডাক-চিৎকারে বাড়ীর লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষন চেষ্টাকারি আরিফ তার সহযোগীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।   এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মামা বাদী হয়ে আরিফ ও লালচাঁনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনছার আলী গত বছরের ১০ জুলাই আদালতে আরিফ ও লালচাঁনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে। ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার শিশু আদালতর বিচারক অভিযুক্ত আরিফ ও লালচাঁনকে ৫ বছরের কারাদন্ডের সাজার রায় ঘোষনা করেন। আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর কিবরিয়া কামরুল মামলাটি পরিচালনা করেন।
Share icon