শেরপুরে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী জেলহাজতে প্রেরণ
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে শেরপুরে বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন সহ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিভিন্ন মামলায় বিএনপি'র শতাধিক নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত ৫ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নেতাকর্মীরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে তা নাকচ করে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে শেরপুর সদর উপজেলায় ১টি মামলায় ২০ নেতাকর্মী উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক সুদীপ্ত দাস তা নাকচ করে সকলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হুইপ আতিউর রহমান আতিক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন শেরপুর সদর আসনে এ ধরনের কোন মামলায় ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কোন ব্যক্তি এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হবেনা বলে সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্বস্ত করেছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় সংবাদ সংগ্রহকালে মামুন নামে এই মালার এক হজতি অভিযোগ করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি পাকুরিয়া ইউনিয়নের ফকির এলাকায় থাকি ,পেশায় আমি একজন সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক। আমার ধারণা এলাকার কিছু কুচক্রী মহল আমাকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন। এই মামলার ঘটনাস্থল আমার এলাকা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অর্থাৎ বাগবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল বলে আমি জানতে পারি।
তিনি মাননীয় হুইপ মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন করে জানান, আমার এই ঘটনার সাথে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই ।আমার বিশ্বাস মাননীয় হুইপ মহোদয় একজন নিরপরাধ মানুষকে অযথা হয়রানি থেকে পরিত্রান করিবেন বলে আমার বিশ্বাস।
জানাজায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে শ্রীবরদী উপজেলার বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওইয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে স্পেশাল ট্রাইব্যুনায় জেলা ও দায়রা জজ স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম দুলালসহ ও নেতারা নামঞ্জুর করে সমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ কে এম শহীদ আহমেদ তা করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া একই দিনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম দুলাল সহ তিন নেতার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজকে ফরিদ আহমেদ নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এছাড়া একই দিনে ওজন নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেনও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুর রহমান তারাসহ ৭৭ জন নেতাকর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।