শেরপুরে মসজিদে দানের ১০ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ !! এলাকায় উত্তেজনা

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
মঙ্গল, 12.01.2021 - 10:58 AM
Share icon
Image

স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের দানের ২৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের  অভিযোগ উঠেছে ছাইফুল ইসলাম মিন্টু নামে এক ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে। মসজিদের দানের টাকা নয়ছয়ের কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এ মাসের প্রথম দিকে চারটি মসজিদ কমিটি ময়মনসিংহ বিভাগীয় পুলিশের ডিআইজির কাছে আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) তদন্ত করছেন।

অভিযোগ কারীদের মধ্যে একজন ওই অভিযুক্ত ব্যবসায়ির সহোদর ভাইও রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে সজিবের দেয়া ২৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে বাকী ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন ওই ব্যবসায়ি।

জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে ওই এলাকার খন্দকার পাড়া, মধ্য আলিনা পাড়া, বড়বাড়ি ও পূর্ব আলিনা পাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই গ্রামের ঢাকার জনৈক ব্যবসায়ী সজিব হোসেন স্থানীয় লোকজন নিয়ে রড সিমেন্ট ব্যবসায়ি মোঃ ছাইফুল ইসলাম মিন্টুকে ২৩ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন। মিন্টু মসজিদ গুলোর কাছেই নকলা শহরের মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক।

আবার ওই ব্যবসায়ী মিন্টু ও সজিবের বাড়ী একই গ্রামে। এই দুজনের মধ্যে চুক্তি হয় মসজিদের মালামাল দিয়ে গ্রহীতার স্বাক্ষর নিতে হবে। টাকা দেওয়ার বছর খানেক পরে ব্যবসায়ি মিন্টু সজিবকে জানান ২৩ লাখ টাকা শেষ হয়ে গেছে এবং আরও ৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। সজিব খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মিন্টুর দেওয়া মালামালের হিসাবের সাথে মসজিদ কমিটির গ্রহন করা মালামালের যথেষ্ট গরমিল রয়েছে। এক পর্যায়ে কমিটিসহ স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ি মিন্টুর মধ্যে বেশ উত্তেজনা শুরু হয় । সেই থেকেই চরম বিরোধ চলে আসছে। 

এখন বিষয়টি ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিআইজি পর্যন্ত গড়িয়েছে। লিখিত ভাবে বিচার চেয়েছেন প্রত্যেক মসজিদের কমিটি। তদন্ত ভার পড়েছে সদর থানার ওসির (তদন্ত) উপর।

সম্প্রতি বিরোধ মিটাতে মিন্টুর আরেক ভাই ফরিদুজ্জামান পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। মসজিদে লাগানো মালামালের সঠিক হিসাব করে সিদ্ধান্ত দিতে চাইলেও মিন্টু মানেননি।

এই বিষয়ে সরজমিনে মিন্টুর দেয়া সকল ভাউচারে দেখা গেছে কোথাও মালামাল গ্রহনকারীর সাক্ষর নেই। এলাকার প্রতিটি মানুষ মিন্টুর আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে ব্যবসায়ি মিন্টু বলেন, সকল মালামাল তৎকালীন মধ্য আলিনাপাড়া মসজিদের সভাপতি সদ্য প্রয়াত আমার বাবা জয়নাল আবেদীনের মাধ্যমে মালামাল ও টাকা লেনদেন হয়েছে। আমি স্বচ্ছভাবে সকল হিসাব যথা সময়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে আমাকে হেয় করতে মিথ্যে অভিযোগ দাড় করানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। দু’পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

Share icon