শ্রীবরদীর কুড়িকাহনিয়াতে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের বাজারের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কুড়িকাহনিয়া বাজারের জমিকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে বিবাদ বিরাজ করছিল। এই জমিকে কেন্দ্র করে এর আগে আদালতে মামলাও হয়েছিল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যৌথ উদ্যোগে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, কুড়িকাহনিয়া বাজারের বাসিন্দা মৃত আতর আলির ছেলে ফিরোজ (৫৫), ফেরদৌস মিয়া ওরফে পাখি (৫০), ফিরুজ মিয়ার ছেলে সাইরদ্দিন (২৫), ফেরদৌস মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫), আলম মিয়া (২৫), বাবু মিয়া ওরফে নুরু (১৮), নাদের আলী নাদুর ছেলে সুলতান মাহমুদ (৫০), সুলতান আহমেদের ছেলে মুরাদুজ্জামান মুরাদ (২৭), পলাশ মিয়া (৩৫)। এছাড়াও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, বাজারের জমিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। তবে আমি এবং শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে সাথে নিয়ে এর আগে দুইবার বৈঠক করে আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো পক্ষকেই নিবৃত্ত করা যায়নি। সামনে আরেকটি বৈঠকে বসার কথা ছিল কিন্তু তার আগেই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে গেল। যেহেতু দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে সুতরাং বিষয়টা আইনগত। প্রশাসনের লোকজন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
শ্রীবরদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ব্যাপারে এখনও আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।