আমার বাবাকে জীবিত উদ্ধার করে দিন
আমার বাবাকে জীবিত উদ্ধার করে দিন ! কান্না জড়িত কন্ঠে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেছেন নিখোঁজ অটোরিক্সা চালক মোশারফের ছেলে হৃদয় মিয়া। অনুসন্ধানে জানা যায়, নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পরেও উদ্ধার হয়নি অটো রিক্সা চালক মোশারফ। তার পরিবারের দাবি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বেহাত করার উদ্যোশ্যেই কোন চোর চক্র এই কাজটি করতে পারে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম দুই সন্তানের জনক মোশাররফকে না পেয়ে শোকের ছায়া নেমেছে তার পরিবারে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোশারফ রাতের বেলায় অটো চালাতে বেশি পছন্দ করতো। এর জন্য অধিকাংশ সময় সে দিনের বেলা ঘুমাতো রাতের বেলা অটোরিকশা চালাতো। প্রতিদিনের ন্যায় ১১ই সেপ্টেম্বর রাত ১১টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে সে আর ফিরে আসেনি এবং তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার মোবাইল নাম্বার থেকে কুড়িকাহনিয়া বাজারের একটি বিকাশের দোকানের অচেনা একটি আইপি ফোন নাম্বার থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে হৃদয় মিয়া শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নাম্বার ৪৮৬।
এ ব্যাপারে তার ছেলের হৃদয় মিয়া বলেন, আমার বাবার সাথে এলাকার কারো কোন শত্রুতা নেই। তিনি সবার সাথে মিলেমিশে চলতেন। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে আমার বাবা জীবন সংকায় আছেন। আমার বাবাকে দ্রুত খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন বলেন, মোশারফ একজন সহজ সরল ও সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। সমাজের সকল মানুষের সাথে সে সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। সবার প্রিয় মানুষ হিসেবে সে খ্যাত। তার নিখোঁজের সন্ধান দাবি করেন তিনি।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা ঘটনাটা শুনেছি। এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত অনুসন্ধান করছি, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তার ব্যাপারে তথ্য দিতে পারবো।