জিকে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনরমিলনী অনুষ্ঠিত
শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী ১০৪ বছরের পুরোনো বিদ্যাপীঠ 'জিকে হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনরমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, স্কুল প্রাঙ্গনে আলোচনাসভা সহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এ পুনরমিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক এমপি। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে দুপুরে স্কুল হলরুমে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এসময় প্রাক্তন শিক্ষার্থী, জেলা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট চন্দন কুমার পাল, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটনসহ অন্যান্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।সবশেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, শেরপুরের জমিদার গোবিন্দ কুমার চৌধুরী ১৯১৯ খ্রি. স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য আড়াই আনীর জমিদার গোপাল দাস চৌধুরী ২৫ হাজার, পৌনে তিন আনীর জমিদার সত্যেন্দ্র মোহন চৌধুরী ১৫ হাজার, ও জমিদার শতীন্দ্র কুমার চৌধুরী ১০ হাজার টাকা দান করেন। সেসময় ইটের গাঁথুনি দিয়ে ব্রিটিশ ধারায় পুরো ভবনটি নির্মাণ করা হয়।সুপ্রশস্ত জায়গাজুড়ে নির্মিত বিদ্যালয় ভবনটি শেরপুরের প্রাচীনতম স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থাপনা। সম্মুখভাগের সানবাঁধানো পুকুরটি স্কুলের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করেছে।
ঐতিহ্যবাহী এ স্কুলটি দেশের বহু গুণীজন ও প্রথিতজসা মানুষের বিদ্যাপিঠ। ১৯৬৪ সালে এই বিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগারে প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় আজকের শেরপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ মাস এখানেই কলেজটির সকল কার্যক্রম চলতে থাকে।