খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতারা
সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
বুধ, 14.03.2018 - 09:25 PM
সময় ডেস্ক।। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ স্থগিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য, নির্বাচন থেকে দূরে সরানোর জন্য নীল নকশার মধ্য দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে।বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় যে জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেগুলোকে দীর্ঘসূত্রিতার মধ্য দিয়ে, বিভিন্ন ছলচাতুরীর মধ্য দিয়ে, কলা-কৌশলের মধ্য দিয়ে সেটাকে বিলম্বিত করছে সরকার। হাইকোর্টে যখন তাকে জামিন দেয়া হলো তারপরে আবার সেই দীর্ঘসূত্রিতা শুরু হয়েছে। তিনি যাতে বের হতে না পারেন ছলচাতুরী করে সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকার একে একে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে- দাবি করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, এখন বিচার ব্যবস্থার ওপর তারা চড়াও হয়েছে। এটা হচ্ছে মানুষের শেষ ভরসাস্থল। সেখানে আজ এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আজ সর্বত্র সরকারি ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি। ‘নিম্ন আদালত সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে’- এমন মন্তব্য করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘একটা মামলায় জামিন পাওয়ার পর আরেকটা মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এটা একেবারে বেআইনি। কিন্তু তারপরও করছেন তারা।’ দলটির এ নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আজ বেগম খালেদা জিয়ার হাইকোর্টে জামিন দেয়ার রায় আপিল বিভাগ স্থগিত করে আমাদের সবাইকে বিস্মিত করেছেন। সারা দেশের মানুষ দেশের উচ্চতম আদালত থেকে যেটা প্রত্যাশা করেনি সেটাই আজ ঘটেছে। মামলার শুনানির সময় আপিলকারী দুদকের আইনজীবী তার বক্তব্য উপস্থাপন করার পর বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কোনো বক্তব্য না শুনে হাইকোর্টে দেয়া জামিনের আদেশ রোববার পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়েছে। অপর পক্ষের কথা না শুনে এ ধরনের রায় আমরা প্রত্যাশা করিনি।’ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ধ্বংস হলে কারো জন্য সুখকর হবে না।’ সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।