শেরপুরে কৃষক ইমান আলী হত্যাচেষ্টা মামলায় মাহমুদুল গ্রেপ্তার নাহওয়ায় আতঙ্কে পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা দেবোত্তর পাড়া গ্রামের কৃষক ইমান আলী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায়তে আতঙ্কে আছে ভুক্তভোগী পরিবার। জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইমান আলীর ভাই মোঃ হাসান আলী বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে দরিদ্র কৃষক ইমান আলীর বাড়িতে প্রবেশ করিয়া মাহমুদুলসহ ৬/৭ জন দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র ধরা বেধড়ক মারধর করে। এসময় বিবাদী মাহমুদুল ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। পরে মুমূর্ষ ইমান আলীকে দ্রুত ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী হতদরিদ্র ওই পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগও পাওয়া গেছে। সরেজমিনে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল এখনও গ্রেপ্তার না হওয়াতে নিরাপত্তা হীনতায় আছে ওই পরিবার।
এ বিষয়ে মামলার বাদী হাছেন আলী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামী রহিজ উদ্দিন ও তার ছেলেরা আমার ভাই ইমান আলীর উপর অতর্কিত হামলা করে। মামলার বিবাদী রহিজ উদ্দিন, মাহমুদুল, রাজিব, আব্দুল কাদির, মজিদ হত্যার উদ্দ্যেশে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ইমান আলীর বাড়িতে হামলা করে। একপর্যায়ে ইমান আলীর মাথায় দারালো দা দিয়ে আঘাত করে মামলার প্রধান আসামী মাহমুদুল। সেসময় আমার ভাই ইমান গুরতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারায়। তার মাথায় ৭ -৮ টি সেলাই লেগেছে। ঐ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনো ইমান আলী সোজা হয়ে দাড়াতে পারে না, কথা বলতে পারে না। হাটাচলা করতে গেলে তার মাথা কাঁপে। আমার ভাই ইমান আলী একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করে। আমরা অসহায় গরীব বলে সুবিচার পাচ্ছিনা।
ভিকটিম ইমান আলী বলেন, আমি খুব গরীব মানুষ, জীবনের তরে মাইরা ফেলার জন্য আমার মাথায় দাও দিয়া ওরা কোপাইছে। গাড়ি ভাড়া দিয়ে উকিলের কাছে যামু এই টাকাও আমার কাছে নাই। আমি সরকারের কছে বিচার চাই। এদিকে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত রহিজ উদ্দিনের ছেলেরা আমাদের চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এই মামলায় কয়েকজন আসামী আদালত থেকে জামিনে মুক্ত থাকলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামী মাহমুদুল। শুধু তাই নয়, আঘাত অনুসারে হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেটও আমরা এখনও পাচ্ছি না।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিনাইগাতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, মাহমুদুল ব্যতীত এই মামলার সকল আসামীরা জামিনে আছেন। আসামী মাহমুদুলকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
ঝিনাইগাতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনিরুজ্জান জানান, ঝিনাইগাতি থানা থেকে আমাদের কাছে ভিকটিম ইমান আলীর বিষয়ে সার্টিফিকেট চেয়ে গত দুই দিন আগে আবেদন পেয়েছি এবং তা আমরা পাঠিয়েও দিয়েছি।