শেরপুরে সহস্রাধিক শীতার্তের মাঝে ইউএসএ শেরপুর সমিতির শীতবস্র বিতরণ
সারাদেশে মাঘের শীত যেন ঝেঁকে বসেছে, এতে নাকাল হয়ে পড়েছে অসহায় দরিদ্র খেটে খাওয়া শীতার্ত লোকজন। তবে দেশের সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলায় শীতের দাপট অপেক্ষাকৃত বেশি লক্ষণীয়। এরমধ্যে শীতের অধিক প্রভাব পড়েছে অসহায় দরিদ্র ও এতিম শিশু শিক্ষার্থীদের দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণে। শেরপুর সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ি, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার এসব শিশু শিক্ষার্থীদের দ্বীনি শিক্ষার রুটিনে যেন বাটা পড়েছে।
আর তাইতো প্রতি বছরের ন্যায় ইউএসএ প্রবাসী শেরপুরের একঝাঁক তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত ইউএসএ, ইনক শেরপুর সমিতি-এর উদ্যোগে জেলার সহস্রাধিক শীতার্তের মাঝে শীতবস্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণের অংশ হিসেবে সোমবার ও মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী জেলার নকলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ঘুরে এতিম খানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার এতিম ও দরিদ্র ৪৫০ শিক্ষার্থীর মাঝে একটি করে কম্বল বিতরণ করা হয়।
উপজেলার যেসব দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয় সেসব প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে, কলাপাড়া নুরানিয়া হাফিজিয়া এতিম খানা, পোয়াভাগ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা, জামিয়া ইসলামিয়া সিরাজিয়া মৌলভিবাড়ী মাদ্রাসা, কোটের চর জাহেদ আলী চৌধুরী ও মাহবুব আলী চৌধুরী আল-আমিন এতিমখানা ও হেফজ খানা, আলহাজ্ব আবু তাহের আজাদ (হারেজ আলী) নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, কাজাইকাটা বড় বাড়ি শিশু সদন ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, চরমধুয়া বাগে জান্নাত হাফিজিয়া মাদ্রাসা, জানকিপুর মোহাম্মাদিয়া নুরানিয়া এতিমখানা ও ক্বাওমী মাদ্রাসা উল্লেখযোগ্য।
ইউএসএ প্রবাসী বাংলাদেশী তরুণদের সংগঠন ইউএসএ, ইনক শেরপুর সমিতি’র পক্ষে এসকল কম্বল বিতরণ কাজে স্বেচ্ছায় সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলার কিছু তরুণ স্বেচ্ছাসেবক। আর তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নকলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ফারুকুজ্জামান (এমএফ জামান ফারুক)। তাছাড়া ইউএসএ, ইনক শেরপুর সমিতি’র পক্ষে অন্যান্য উপজেলায় বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে এমএফ জামান ফারুক প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্বল সরবরাহ করেছেন।
এসময় নকলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বেচ্ছাসেবক ফজলে রাব্বী রাজন ও মো. নুর হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক মনিরুজ্জামান সবুজসহ সংশ্লিষ্ঠ এতিম খানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশী নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে বসে দেশের প্রতি ভালবাসা দেখিয়ে উপহার হিসেবে কম্বল পাঠিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।