শেরপুরে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন ; পুলিশের প্রেসব্রিফিং

স্টাফ রিপোর্টার
শনি, 06.05.2023 - 04:44 AM
Share icon
Image

শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি মো: রফিক মিয়া (৫৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত রফিক প্রতাবিয়া  পূর্বপাড়া গ্রামের শাহা ফকিরের ছেলে। ওই কৃষককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত‍্যা করে একটি মেহগনি কাঠ বাগানে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে নবী হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

হত‍্যার পর থেকেই  নিহতের আপন ভাতিজা মৃত আব্দুল মোতালেব এর ছেলে ওয়াসিম, জসিম, জিয়ার আলী, আলম, ফয়সালসহ কয়েকজন প্রচার করে এ হত‍্যায় প্রতিবেশী কুদরতুল্লা আঙ্গুর, মন্তমিয়া, শহিদুল গং জড়িত। তারা মামলার স্বাক্ষীও হন। পরে তাদের প্ররোচনায় ৯ জন নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে  হত‍্যা মামলা হয়। ওই মামলায় প্রায় তিনমাস কারাভোগ করেন তারা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা  মামলার অধিকতর  তদন্তকালে  বাদী, স্বাক্ষীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন রফিক  হত‍্যাকান্ডে তার আপন ভাতিজারা জড়িত। 

পরে পুলিশ  নিহত রফিকের ৫ ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে  দুই আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে নিহত রফিকের ৫ ভাতিজা চাচা হত‍্যার দায় স্বীকার করেন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয় তারা। আসামীরা জানায়, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তারা চাচাকে হত‍্যা করেছে।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রহস‍্য জানাতে শুক্রবার বিকেলে শেরপুর জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান বিপিএম।  

এসময় তিনি লিখিত বক্তব‍্যে ঘটনার  বিস্তারিত বর্ণনায় বলেন,

পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান
 জানান, তদন্তের শুরুতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ভাতিজাদের আটক করা হয়। এ সময় ওই এলাকার জনৈক রাজু মিয়া পুলিশের কাছে এসে ঘটনার বিষয়বস্তু খুলে বলে এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। 

রাজু জানায়, ঘটনার দিন রাতে তাকে (রাজু) দিয়েই ভাতিজারা চাচা রফিককে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। পরে চাচা আর বাড়ি ফেরে নাই। ভাতিজাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে ঘটনার দিন রাতে চাচাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।
অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যে শুক্রবার সারাদিন পুকুরে চারটি সেচ পাম্প বসিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস সোহেল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বছির আহমেদ বাদল, ওসি ডিবি মো. মুশফিকুর রহমান, ডিআইও-১ জাহাঙ্গীর আলম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু নাঈম প্রমুখ।

Share icon