শেরপুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে লাঞ্ছনার অভিযোগ
শেরপুরে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পেটে লাথি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের নাম মো. ফারুক মিয়া। সে ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী মিজু মিয়া জানান, আমার পাশের বাড়ি রুবাইদুল্লার কবুতর ফারুক মাস্টারের বাড়িতে গেছিলো। পরে আবার রুবাইদুল্লাহ ওই কবুতরগুলো নিতে ফারুক মাস্টারের বাড়িতে যায়। সাথে আমাকেও নিয়ে যায়। পরে আবার রুবাইদুল্লাহ ফারুক মাস্টারের ছেলেকে বলে কবুতরগুলা আমার। পরে তার ছেলে বলে ১ মাস ধরে কবুতর গুলা কোত্থেকে জানি আইছে। এনিয়েই ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
পরে ফারুক মাস্টার এসে মিজু মিয়াকে মারধোর করতে আসলে তার অন্তস্বত্তা স্ত্রী স্বামীকে বাচাঁতে যায়। পরে ফারুক মাষ্টার পেটে লাথি দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে তাকে শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখান থেকে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে আজ ২০ মে সকালে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে শেরপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবির সুমন বলেন, রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া হবে। আমরা আশা করছি মা ও গর্ভের বাচ্চার কোন সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ফারুক মাষ্টারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এর কোন সত্যতা নেই। আমি ওই সময় অভিযোগকারী মহিলাকে দেখিনি। একটি মহল আমার সম্মানহানি করার জন্য পায়তারা করছে। সরজমিন তদন্ত করলে আমার কথা সত্যতা পাবেন বলে জানান সাংবাদিকদের।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।