মেজর রাশেদ নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রত্যাহার
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ সিনহা নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের একদিন আগে নিজেকে 'অসুস্থ' দাবি করে ছুটি নেন তিনি।
বুধবার (৫ আগস্ট) পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সূত্রটি বলছে, বুধবার টেকনাফের ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করা হয়নি। থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এ বি এম দোহাকে ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অপর এক সূত্র জানায়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, কয়েক দিন ধরে ওসিকে থানায় দেখা না যাওয়ায় তার প্রত্যাহারের গুঞ্জন শোনা যায়। তবে বুধবার কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার গতকাল সকালে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে থানা থেকে বের হয়ে যান।’
এর আগে বুধবার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় টেকনাফের আদালতে হত্যা মামলা করে তার পরিবার। ঘটনার দিন উপস্থিত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ নয় পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নিহত রাশেদের বোন শারমিন।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তামান্না ফারাহ টেকনাফ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাবকে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বুধবার কক্সবাজার সফর করেন সেনাপ্রধান ও আইজিপি। পরে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা এটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই। যে ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল তারা কাজ শুরু করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ও তদন্ত কমিটির প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’
তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ যে কোনো প্রয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মর্মাহত।
সূত্রঃ জাগোনিউজ