জামালপুর সদরের ত্রাণ শাখায় কর্মরত কে এই আবুল কালাম!
জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ত্রাণ শাখায় দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত আছেন আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি। কে এই আবুল কালাম? তার খুটির জোড়ই বা কোথায়? প্রশ্ন অনেকেরই। ত্রাণ শাখার নিয়োগকৃত কোন কর্মচারী না হয়েও এই শাখার প্রতিটি ফাইলেই আছে তার হাতের স্পর্শ বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার ত্রাণ শাখায় বিগত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের ২১ তারিখে সরকার কর্তৃক আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অফিস সহায়কের নিয়োগ হয়। অথচ অফিস সহায়ক থাকতেও এই ত্রাণ শাখায় কোন নিয়োগ না পেয়েও মাষ্টাররুলে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন বলে থাকেন আবুল কালাম। তাকে বিভিন্ন সময় অফিসের চেয়ার-টেবিলে বসে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ঘাটাঘাটি করতে দেখা যায়। আবুল কালাম যে টেবিলে বসে তার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন সেই টেবিলে মাঝে মধ্যে বসেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুর রহমানও। আসলে চেয়ারটি কার?
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই দপ্তরের একজন বলেন, ত্রাণ শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত যারা আছে তাদের দিয়ে কাজ না করিয়ে নিয়োগ ছাড়া আবুল কালামকে দিয়ে সকল ফাইল ও অন্যান্য কাজ করানো হয়। ত্রাণ শাখার মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়োগপ্রাপ্ত না হলেও তাকে দিয়ে সব কাজ করানো হচ্ছে। বলতে গেলে আবুল কালাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মতই কাজ করে থাকেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, বিগতদিনে আবুল কালামের মত অনেকেই এভাবে ওই শাখায় কাজ করেছেন। সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত অফিস সহায়ক রনি আহম্মেদ কাজ না বুজায় আমি আবুল কালামকে দিয়ে কাজ করিয়ে থাকি। সে পিআইও অফিসের সব কাজ বুজেন বলেই তাকে দিয়ে আমি কাজ করাচ্ছি। আমার এখানে কাজের পরিধি হিসেবে আরও লোকবলের প্রয়োজন। আমি চাইলে আরও কয়েজনকে দিয়ে কাজ করাতে পারি বলেও জানান তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নামধারী অফিস সহায়ক আবুল কালামের সাথে অফিসে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ব্যস্ততার কথা বলে ফোনটি রেখে দিয়েছেন। তবে একপর্যায়ে এ প্রতিনিধির মুঠোফোনে ফোন করে নিউজ না করার শর্তে টাকার অফার করেন তিনি।