শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত
শেরপুরের শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে শেরপুর পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের নবীনগর মহল্লার ফসলি জমির মাঠে বসে এ মেলা। স্থানীয় নবীনগর এলাকাবাসীরা প্রায় শত বছর যাবত এ মেলার আয়োজন করে আসছে।
মেলায় বিভিন্ন পিঠা, মিষ্টি, সাজ, মুখরোচক খাবারসহ বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন মজাদার খাবার বসে। এছাড়া শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মাটির তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, মেয়েদের প্রসাধনী ও চুড়ি-মালার দোকান বসে। বেচা বিক্রিও চলে বেশ। মেলায় গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় জমায়।
এ মেলা মূলত ৩০ পৌষ সংক্রান্তির মেলা হলেও কয়েক বছর ধরে মেলার স্থানে বোরো আবাদের জন্য সংক্রান্তির আগেই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই এ মেলা এখন ‘পৌষ সংক্রান্তি’ মেলা থেকে কেবল ‘পৌষ মেলায়’ রূপ নিয়েছে। মেলায় প্রতি বছর অন্যতম আকর্ষণ ঘোর দৌড়ের পাশাপাশি গাঙ্গি খেলা ও সাইকেল রেস হলেও এবার র্যাফেল ড্র ও মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দিন দিন এ মেলার আকর্ষণ ও লোক সমাগমও বাড়ছে বলে আয়োজকরা জানান। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ২০ জন ঘোড় সোয়ার অংশ গ্রহণ করেন।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন ও প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শহরের অদূরে এবং পৌর এলাকার মধ্যে এ মেলার আয়োজন করা হওয়ায় শহরবাসীর উপচে পড়া ভিড় পড়ে মেলায়। কত বছর পূর্বে এ মেলার প্রচলন হয়েছিল তা কেউ সঠিক করে বলতে না পারলেও প্রায় এক শত বছর ধরে চলে আসছে বলে স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ ও গ্রামবাসী মনে করেন।
মেলায় আয়োজক শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাঙালি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের ঐতিহ্য আমাদেরকেই ধরে রাখতে হবে। তাই এই মেলাকে আকর্ষণীয় করার জন্য আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে এই মেলাকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করেছি।