ঝিনাইগাতীতে জমি বেদখলের আতঙ্কে দিন কাটছে ছয়ফল বিবির পরিবারের
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জমি বেদখলের ভয়ে আতঙ্কে দিনকাটছে ছয়ফল বিবির পরিবারের সদস্যদের। ছয়ফল বিবি উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বাতিয়াগাঁও গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল মোতালেবের স্ত্রী। জানা গেছে, ছয়ফল বিবি হাসলিবাতিয়া মৌজায় আরও আর খতিয়ান নং ৩৬৭,বিআরএস খতিয়ান নং ৪৮২,সাবেক দাগ নং ২০৩৩,হালদাগ নং ৪০৪৫এর মধ্যে ৩২ শতাংশ জমি পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখলে আছেন। গত ৫ বছর যাবৎ ওই জমি চাষাবাদ করে ফসলাদি ভোগ করে আসছেন ছয়ফল বিবি ও তার পরিবারের সদস্যরা।
ছয়ফল বিবি জানান, তার ওই জমির প্রতি লোভজাগে একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সুলতান মিয়া ও তার লোকজনের। তারা জালজালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করে ওই জমি দখলে নিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। এবিষয়ে বিবাদীদের হাত থেকে জমি রক্ষার দাবিতে ছয়ফল বিবি শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন নং -১৮৩/ ২০২১ ধারা ১৪৪ দায়ের করেন। বিচারিক আদালত উক্ত জমির দখল বিষয়ে সরেজমিন প্রতিবেদনসহ সাক্ষপ্রমানাদি গ্রহনের পর বিবাদীদের বিরুদ্ধে ওই জমিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, বিবাদীরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গায়ের জোরে তার দখলীয় জমি বেদখলের ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি আরও জানান, গত ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তার লোকজন ওই জমিতে বোরোধানের চারা রোপণ করতে যান। এ সময় বিবাদী সুলতান ওই গ্রামের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য তৈয়ব আলীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, রামদা ও ফালা নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করতে আসে। প্রানভয়ে তাদের লোকজন দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। তখন এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা ওই সন্ত্রাসীদের নিভৃত করেন। এ ব্যাপারে ছয়ফল বিবি বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে বিবাদী সুলতানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ইউপি সদস্য তৈয়ব আলী বলেন, আমি ছয়ফন বিবির লোকজনদের মারতে যাইনি। সংঘর্ষ যাতে না বাধে সেজন্য ফেরাতে গিয়েছিলাম।
অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।