শেরপুর প্রেসক্লাব’র সাধারণ সভা ও বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত
শেরপুর প্রেসক্লাব’র সাধারণ সভা, বার্ষিক বনভোজন, প্রেসক্লাবের সকল সদস্যের মাঝে ব্লেজার বিতরণ ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে প্রথমেই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সভাপিত শিরফুর রহমানের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ, আয়ব্যয়ের হিসাব ক্লাবের পরবর্তী ৫দফা উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন।
সাধারণ সভার শুরুতেই এ যাবৎ নিহত ক্লাবের সদস্যদের জন্য শোক প্রস্তাব আনা হয়। একইসাথে নিহতদের জন্য স্মরণ ও শোকসভার আয়োজন করার সর্বসম্মত সিদ্ধান হয়। একই সাথে বার্ষিক আয় ও ব্যায়ের হিসাব অনুমোদন করা হয়।
সভায় শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ক্লাবের সদস্য শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: ফরিদুজ্জামান ও জাহিদুল হক মনির ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাদেরকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। পরে আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বনভোজন ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী সাধারণ সভা ও বার্ষিক বনভোজন উপলক্ষে শেরপুর প্রেসক্লাব’র সভাপতি মো. শরিফুর রহমান এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ডিসি পত্নী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সিনিয়র সহসভাপতি মলয় মোহন বল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সহসভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত, সিনিয়র সদস্য এমএ হাকাম হীরা, তালাত মাহমুদ, আবু বক্কর, ইউসুফ আলী রবিন, বুলবুল আহাম্মেদ প্রমুখ ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, শেরপুরের সাংবাদিকদের সাথে আমার মনের মিল হয়েছে। প্রেসক্লাবের সকল কার্যক্রম আমি দেখেছি খুবই সুন্দর ভাবে তারা আয়োজন করেন। এমন ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব অন্য জেলায় আছে বলে আমার মনে হয়না। প্রেসক্লাব’র জন্য আমার সুনজর রয়েছে। যেকোন ক্ষেত্রে প্রেসক্লাব’র পাশে দাঁড়ানোর তিনি প্রতিশুতি দেন।
পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, তিনটি চাকরিকে আমি চাকরি মনে করি না। এগুলো হল-পুলিশ, সাংবাদিক ও চিকিৎসক। এই চাকরি গুলোকে আমি সেবামূলক পেশা বলেই মনে করি। কারণ এ পেশাগুলো বেশির ভাগ জনগণের সাথে সরাসরি সম্পর্ক যুক্ত। আমি চেষ্টা করি সবসময় যেনো সাংবাদিকদের সাথে থাকতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুনাক সভানেত্রী পুলিশ সুপার এর পত্নী কাজী মুনালিসা মারিয়া, মেয়র পত্নী শাহিনা আক্তার পারভীন, শেরপুর প্রেসক্লাব’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মলয়, সহ- সভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, মহিউদ্দিন সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফুর রহমান ফকির, ক্রিড়া সম্পাদক সোহেল রানা, সাহিত্য সম্পাদক ইমরান হাসান রাব্বি, প্রচার সম্পাদক জুবাইদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আলমগীর হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ রৌশন কবির আলমগীর, নির্বাহী সদস্য, এমএ হাকাম হিরা, সাবিহা জামান শাপলা, দেবাশীষ সাহা রায়, রেদোয়ানুর হক আবির, আবুল হাশেম, সিনিয়র সাংবাদিক জিএম বাবুল, সন্জিব চন্দ বিল্টু, বিপ্লব দে কেটু, রফিক মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্পেশাল পুরস্কার হিসেবে ছিলো একটি ফ্রীজ এবং ১ম পুরস্কার একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভিসহ আরও অনেক পুরষ্কার।