শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে মানুষ
শেররের ঝিনাইগাতীর কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি সেতুন অভাবে ৪ গ্রামের শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার সীমান্তবর্তী কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি এলাকার বুকচিরে ভারত থেকে নেমে এসেছে পাহাড়ি নদী কালঘোষা। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি গ্রামবাসীদের। আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। একটি সেতুর অভাবে এপথে চলাচলকারী ৪গ্রামের শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন এ পথে হালচাটি,গান্দিগাঁও,নওকুচি ও গজনী গ্রামের শতশত মানুষ চলাচল করে থাকে। শুধু তাই নয় এখানে একটি সেতু না থাকায় সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)'র টহলদল ও বন বিভাগের কর্মকাণ্ড বাঁধা গ্রস্থ হয়। নদীর উত্তর পাশে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত আদিবাসী কোচ পল্লী। এ পল্লীতে ছোট- বড় নারী পুরুষ ও শিশুসহ শতাধিক কোচ সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। এগ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কোমল মতি শিশু কিশোরদের নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষাকালে নদীতে পানি থাকে এসময় স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না শিশু কিশোরদের।
হালচাটি গ্রামের আগ্নেশ্বর কোচ, সুরেন্দ্র চন্দ্র কোচ, বাহাদুর কোচসহ গ্রামবাসীরা জানান,এ নদীর হালচাটিতে একটি সেতু নির্মাণের দাবি গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয় গেছে। কিন্ত আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। আক্ষেপের সুরে তারা বলেন, নির্বাচনের সময় এলে জনপ্রতিনিধিরা এ নদীর উপর সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে শুধু আমাদের কাছে ভোট নেয়। কিন্ত নির্বাচনের পরে কেউ আর আমাদের খুজ খবর নেন না। এ নদীর উপর একটি সেতু না থাকায় এ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে যেমন তেমন বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।কখনো বাঁশের সাঁকো নির্মান করে পারাপার হতে হয়। আবার কখনো কাপড় ভিজে পারাপার হতে হয়।
গত প্রায় ১০ বছর পূর্বে কাংশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সরকার গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ লাগবে এলজিএসপি'র অর্থে এখানে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করায় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে তা বিধ্বস্ত হয়। এরপর আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে কোন কোন সময় বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার হন গ্রামবাসীরা। রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন এ নদীর উপর সেতু না থাকায় তাদের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। নিলামে বিক্রি করা বনের কাঠ পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। হতে হয় নানা বিড়ম্বনার শিকার।
৩৯ ব্যাটালিয়ানের নকসী সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মো,আব্দুল হাই আকন্দ বলেন এ নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে জরুরি কোনো কাজে বিজিবি'র টহলদল সীমান্তে পৌছাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ।
ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ও কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন কালঘোষা নদীর হালচাটিতে একটি সেতুর জরুরি প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন,ওই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানে হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তাং ০৫ /০৩/২২ ইং