শেরপুরে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে গত ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ গুজব রটিয়ে হামলা চালিয়ে জবাই করে হত্যা, শতাধিক নারী ও পুরুষ কর্মীকে পুড়য়ে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ শেরপুর জেলা শাখ। ২১ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা শেরপুর শহরের নিউ মার্কেটে অবস্থিত পালকী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মো. মুমিনুর রহমান পান্না।
হেযবুত তওহীদের শেরপুর সদর পশ্চিমাঞ্চলের সভাপতি মো. সুমন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লুৎফর রহমান সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফিজুর রহমান আলিফ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আতাউর কবির এনামুল, শ্রীবরদী উপজেলা সভাপতি মো. নূরন্নবী মোস্তফা নবীন, নকলা উপজেলা সভাপতি মো. মাসুদ রানা, নালিতাবাড়ী উপজেলা সভাপতি মো. রাতুল হাসান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পান্না বলেন, বর্তমান সময়ে নেতিবাচক গুজব সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। ধর্মান্ধতা, অন্যায়, শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পরও গুজব ও হুজুগের তান্ডব দেখতে হচ্ছে। বিগত দিনে বারবার গুজব রটিয়ে হামলা, হত্যা, অগ্নি সন্ত্রাসের মতো তান্ডবলীলার ঘটনাও ঘটেছে। কোরআন অবমাননা, রাসুলকে অসম্মান করা ইত্যাদি নানা প্রকার গুজব ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের শত শত বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্ম ব্যবসায়ী শ্রেণী গুজব ছড়িয়ে ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ হামলা চালিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা, শতাধিক নারী ও পুরুষ কর্মীকে পুড়য়ে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে। এসব প্রতিরোধে এখনই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে সুস্থ চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যাতে গুজব ছড়িয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করতে না পারে।