শেরপুরে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী রবি নিয়োগী’র ২১তম মহাপ্রয়াণ দিবস পালিত
শেরপুরে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা আন্দামান জেল ফেরত অগ্নিযুগের সিংহপুরুষ প্রয়াত বিপ্লবী রবি নিয়োগীর ২১তম মহাপ্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। বিগত ২০০২ সালের ১০ মে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
বিপ্লবী রবি নিয়োগীর ২১তম মহাপ্রয়াণ দিবসে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, শেরপুর জেলা সংসদের পক্ষ থেকে শহরের নিউমার্কেট কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যক্ষ তপন সারোয়ারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী জয়শ্রী দাস , জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি কমল চক্রবর্তী, জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রীতেশ কর্মকার, সাংবাদিক আব্দুর রহিম বাদল,নারী নেত্রী আইরিন পারভিন, আবুত্তি শিল্পী শ্যামলী মালাকার,শুভংকর সাহা,সৌমেন নিয়োগী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের অধিকার রক্ষায় টঙ্ক আন্দোলন, নানকার আন্দোলন,তেভাগা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিঁনি ছিলেন একজন লড়াকু সৈনিক। শত নির্যাতন-নিপীড়ন, কারাভোগ করেও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সংগ্রামে তিঁনি কখনো পিছপা হননি। বিপ্লবী রবি নিয়োগী বিভিন্ন মেয়াদে ৩৪ বছর কারাভোগ করেছেন এবং ১৫ বছর আত্মগোপনে কাটিয়েছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিঁনি আন্দামান নির্বাসন দন্ডও খেটেছেন।
অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষটি সব সময় মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করে গেছেন। তিঁনি কেবল রাজনীতিকই ছিলেন না, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। দৈনিক সংবাদ ও সাপ্তাহিক একতার শেরপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে সাধারন মানুষের দুঃখ-দূর্দশার চিত্র এবং সমাজের অসংগতি তুলে ধরে সমাজ সংস্কারে অবদান রেখেছেন। বিপ্লবী রবি নিয়োগীর পরিবারটাই ছিল রাজনৈতিক আবহে গড়ে উঠা। তার স্ত্রী জ্যোৎস্না নিয়োগীও রাজনীতি করতে গিয়ে জেল খেটেছেন।
উল্লেখ্য, বিপ্লবী রবি নিয়োগী ১৯০৯ সালের ২৯ এপ্রিল শেরপুর টাউনের গৃদানারায়নপুর মহল্লার পুরাতন গোহাটা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০২ সালের ১০ মে ইহলোক ত্যাগ করেন।