শেরপুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৭ হাজার নারী পেলেন সাড়ে ৩ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান
শেরপুরের নকলায় করোনা মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ হাজার ১০২ জন দুস্থ নারী পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান। শেরপুরের নকলায় অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন বা এসডিএফ এর সহায়তায় সংগঠনের উপকারভোগি সদস্যদের এ অর্থ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
১৮ মে বুধবার দুপুরে জেলার নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের লয়খা নব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আর্থিক অনুদানের নগদ টাকা বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব এসডিএফ এর বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর চেয়ারপার্সন মো. আব্দুস সামাদ ফারুক। এসময় প্রধান অতিথি আব্দুস সামাদ বলেন, এসডিএফ বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের অধীন একটি অলাভজনক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যা ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এসডিএফ সবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্রামীণ ক্ষুদ্র অবকাঠামো নির্মান. জীবিকায়ন কার্যক্রম, কর্মসংস্থান সৃজন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সহায়তা প্রদান, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চতকরণ এবং সর্বোপরি সমন্বিত ও পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণে যথাযথ অর্থায়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধনে সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
নকলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাউসার আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় এসডিএফ এর পরিচালক (অপারেশন) মো. গোলাম ফারুক, নকলা উপজেলার চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার, উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকাদারসহ এসডিএফ এর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি ও উপকারভোগিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসডিএফ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে এসডিএফ এর (জঊখও) প্রকল্পের আওতায় এনজেএলআইপি প্রকল্পভুক্ত ১২ টি জেলার ৩৬ টি উপজেলার ২ হাজার ৩৪৯ টি গ্রামের কোভিট-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার উপকারভোগীর মাঝে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে মোট ১২৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান কার্যক্রম গ্রহন করেছেন। এরই অংশ হিসেবে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নকলা, উরফা, গণপদ্দী, চন্দ্রকোনা, বানেশ্বর্দী ও পাঠাকাটাসহ মোট ৬ টি ইউনিয়নের ৬৬ টি গ্রামের হতদরিদ্র মহিলা ও যুবকদের নিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা এবং আত্ম কর্মসংস্থানের কাজ করে যাচ্ছে।