শ্রীবরদীতে ঘর সহ জমি দখলের অভিযোগ
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে দীর্ঘদিন যাবত ঘরসহ জমি জবর দখলের অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীবরদী পৌর শহরের উত্তর বাজারের শ্রীবরদী-ভায়াডাঙ্গা সড়কের পশ্চিম পাশে। এ অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগি বয়োবৃদ্ধ আসাদুজ্জান (৭২)। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা শালিস হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। বরং প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলাসহ নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। ফলে ওই বৃদ্ধ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। সোমবার সরেজমিন ঘুরে বৃদ্ধ আসাদুজ্জামানের অভিযোগ পত্র সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ওঠে আসে এমন তথ্য।
অভিযোগে জানা যায়, মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জান পৈত্রিক সূত্রে তাতিহাটি মৌজার ৪৩৪ নং খতিয়ানের ৮২২ নং বিআর এস দাগের ২৬ শতাংশ জমি পান। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু তার ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি তার তিন মেয়েকে ভাগ করে লিখে দেন। এতে তার চাচাতো ভাই ভাতিজারা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই ঘরসহ জমি জবর দখল করে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। উল্টো আসাদুজ্জামান সহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে হয়রানী করা হয়।
অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান বলেন, বাবা আমাকে ওই জমি লিখে দিয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর আমি জমিতে ঘর নির্মাণ করি। পরে আমার ছেলে সন্তান না থাকায় ওই জমি আমি তিন মেয়ের নামে লিখে দেই। এরপর থেকে আমার চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন, মোশারফ হোসেন ও ভাতিজা আকিমুলসহ ৮/৯ জন সংঘবদ্ধভাবে ওই জমি জবর দখল করে। এছাড়াও আদালতে আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই। জমি জবর দখলের কথা স্বীকার করে প্রতিপক্ষ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলাটি খারিজ হয়েছে। তবে আবারো উচ্চ আদালতে মামলা দায়েরের কথা জানান তিনি। তবে তার ছোট ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, আমরাও মামলা করুম। তবুও জমি দিমু না।
শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় শালিস হওয়ার কথা। তবে কেউ আইন শৃংখলা বিরোধী কোনো কাজ করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।